আমার মা,আমার ভাষা, কাড়বি কে ভিন্নভাষী?
ভাষা শহীদের রক্তে ধোয়া, বাংলায় বিশ্বাসী।
ভুলিনি ভায়ের বুকের রক্তে একুশে ফেব্রুয়ারী,
অসাড় হয়ে জিভ মোর,বঙ্গ মাধুরী হারি।
রক্তস্নানে দিয়াছ জনম আবারও বাংলারে,
বাঙালির মুখে,বাঙালির হৃদে, রক্তকরবী হারে।
উর্দুর ওই হাড়িকাঠে কেন গলাবো মাথা?
বাংলার জয়ে হোক মরণ,গুলি বুকে গাঁথা।
ঢাকার রাজপথে রক্তে রাঙা শহীদের পদচিহ্ন,
ভাটিয়ালি সুরে,বাউলের তারে এই চির চিহ্ন।
কত মায়ের কোল হলো আজ খালি!
মরণ গগনে দেখো যে রক্ত চন্দ্রফালি।
মাতৃ স্নেহে, ভ্রাতৃদৃঢ়তা, পিতৃ আশীষে,
দেখো রক্ত লেগে আছে ওই ধান শীষে।
শেষ না হওয়া গানখানি থামালো একগুলিতে,
কুড়ি হয়েই ঝড়ে পড়ে বাককুসুম ধূলিতে।
বরকত-সালাম-জব্বার-রফিকউদ্দিনের রক্তে,
প্রতিবাদে আজ তীব্র স্বর, শতশত ভাষা ভক্তে।
ঢাকাতে কত তরুণ-তরুণী শোপিল এ প্রাণ,
নিজ রক্তে পবিত্র করিল সকল বঙ্গ গান।
কানাডাবাসী ইসলাম আর সালামের উদ্যোগে,
মর্যাদা পেল রাঙা শহীদেরা এই মহামাতৃযোগে।
প্রাণের ভাষা, মুখের বোল, ফিরাতে স্মরি তোমারে,
রাঙা শহীদের চরণে প্রণাম মাতৃভাষার জয়হারে। ।
